পাতা
”ডিজিটাল বাংলাদেশ” এখন আর একটি স্লোগান নয়, এটি এখন সময়ের দাবী এবং এর বাস্তবায়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এই দাবী বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত জেলা ই-সেবা কেন্দ্র হতে নাগরিক আবেদন গ্রহণ করা হয় । বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল কাজ ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে করা হচ্ছে। ই-সেবার মাধ্যমে যে কোন সেবার জন্য আবেদন করলে আবেদনকারীকে গ্রহণ নম্বরসহ একটি রশিদ দেয়া হয়। এ রশিদে সেবা প্রদানের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ থাকে। এর ফলে সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। সেবা প্রদানকারী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেবার মন মানসিকতা নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা উৎসাহ পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন প্রায় দুইশত বছরের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণকে সেবা প্রদান করে আসছে। সরকারের সাথে জনগণের যোগসূত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমেই ঘটে থাকে। জনগণের একটি বৃহৎ অংশ প্রতিদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সেবা গ্রহণ করে থাকে। এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে অফিস ব্যবস্থপনা করা হতো বিধায় জনগণকে তড়িৎ গতিতে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করা সম্ভব হতোনা। ই-সেবাকেন্দ্র চালু হওয়ার ফলে বর্তমানে কোন নাগরিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে না এসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অথবা ডাক যোগে কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এমনকি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং উপজেলা ই-সেবা কাউন্টার থেকেও এসব সেবা নেয়া সম্ভব হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পত্র গ্রহণ, পত্র জারী, নথি ব্যবস্থাপনা এবং ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের নিকট নাগরিক আবেদন করার জন্য"নাগরিক আবেদন" এ ক্লিক করুন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস